কুমারিকা গুঁড়া
- Status: Stock in Status: Stock out
পন্য হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধ করবেন।
শতভাগ শিওর হয়ে অর্ডার করবেন।
Product Description
দ্ভিদ বিজ্ঞানের ভাষায় একে Smilax Sp বলা হয়। এই জেনাসের প্রায় ৩০০-৩৫০টি প্রজাতি আছে। এদেরকে সাধারণত গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে দেখা যায়। এরা Smilacaceae পরিবারভুক্ত একবীজপত্রি সপুস্পক কাটা যুক্ত climbing পেরিনিয়াল শক্ত কাস্টল লতা জাতীয় উদ্ভিদ। ইংরেজীতে এদেরকে ওয়াইল্ড সারসাপারিলা, ইন্ডিয়ান সারসাপারিলা বা ব্ল্যাক ক্রিপার বলা হয়। এছাড়াও Catbriers, Greenbriers, Prickly-ivys I smilax নামে পরিচিত। আমাদের দেশে কুমারীলতা বা কুমারীকা নামেই অধিক পরিচিত। । এখন এদের দেখা খুব একটা পাওয়া যায় না। বর্তমানে এই উদ্ভিদ হারিয়ে যাবার পথে।বাড়ির পাশের ঝোপ ঝাড়ে জন্মায়। বেশ তিতা স্বাদের পাতা ও ডগা। লতার গায়ে কাটা আছে।কোথাও কোথাও বুলকুমিয়া, বেড়াল আচড়া নামেও এই উদ্ভিদ পরিচিতি লাভ করেছে।
শক্ত লতানো, কাঁটাযুক্ত আরোহী এই উদ্ভিদ। পাতার অগ্রভাগ সরু, বৃন্তদেশ গোলাকার, পাতার উপরের দিক মসৃণ। গ্রীষ্ম, বর্ষায় মনকাড়া ফুল ফোটে। এর কচি ডগার রঙ খুবই আকর্ষনীয়। দেখলে মনে হয় যেন সদ্যস্নাত এক রূপসী তরুণী দাঁড়িয়ে আছে।
আগেকার দিনে অবিবাহিত মেয়েদের PMS এর ব্যাথা নিরাময়ে এই লতার কচি ডগা পিষে রস খাওয়ানো হতো। এতে যেহেতু চমৎকার ফলাফল পাওয়া যেতো তাই এর বাংলা নামকরণ করা হয় কুমারীলতা বা কুমারিকা।গ্রামের অনেকের ধারণা, এর ডগা সাপে খেয়ে ফেলে। এবং এ কারণে সাপ অনেক শক্তিশালী হয়। এই ধারণা থেকে অনেকে কুমারী কাটার গাছ দেখলে এর ডগা কাচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন। মূলত এতে সত্যি কাজ হয় কিনা জানা নেই।তবে সিফিলিস, গনোরিয়া, বাত, পায়ের ব্যথা, ফুলে যাওয়া, রক্ত-শুন্যতা, আমাশয় ও জ্বরের চিকিৎসায় ব্যবহারের কথা জানা যায়।