অ্যালোভেরা গুড়াঁ
- Status: Stock in Status: Stock out
Product Description
অ্যালোভেরা পাউডারের উপকারিতা:
এমন একটি উপাদান যা সব ধরনের ত্বক, সব ধরনের সমস্যার সমাধান দেয়। অ্যালোভেরা এবং নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে শুষ্ক ত্বকের উপযোগী ময়েশ্চারাইজার তৈরি করতে পারেন।
যাই হোক, আপনি জানেন কিভাবে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিতে হয়। অনেক সময় এই সমস্ত উপাদান সংগ্রহ করে একটি প্যাক তৈরি করা অনেকের জন্য প্রয়োগ করা কঠিন বা সময়সাপেক্ষ হয়ে ওঠে।
হাইলাইটার মূলত মুখের ত্বককে নরম ও উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, হাইলাইটারটি নিখুঁতভাবে ব্যবহার করতে, আপনাকে বেশ কয়েক দিন অনুশীলন করতে হবে। এছাড়াও, আপনার ত্বকের রঙ এবং ধরন সম্পর্কেও জানা উচিত। সেই অনুযায়ী হাইলাইটার ব্যবহার করতে হবে।
যেমন, ত্বক তৈলাক্ত হলে পাউডার হাইলাইটার ব্যবহার করা উচিত। যদি ত্বকের ধরন শুষ্ক হয় তবে একটি লিকুইড হাইলাইটার বেছে নিন। কারণ, প্রতিবার হাইলাইটার দিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করতে অনেক কষ্ট হয়।
কারণ নির্দিষ্ট সময়ের পর তা সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে হয়। হাইলাইটার পণ্যগুলিও ব্যয়বহুল। তাই প্রাকৃতিক উপাদান যেমন অ্যালোভেরা বেছে নিন। অনেকেই হয়তো জানেন না যে অ্যালোভেরা একটি প্রাকৃতিক হাইলাইটার, যা ত্বকের জন্যও নিরাপদ। প্রাকৃতিক উপাদান বা উপাদান নিয়মিত ব্যবহার করে যে কেউ স্বাভাবিকভাবেই মুখের ত্বককে উজ্জ্বল করতে পারেন।
অ্যালোভেরা প্রাচীনকাল থেকেই সারা বিশ্বে একটি জনপ্রিয় প্রসাধনী উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ত্বককে বার্ধক্য, ব্রণের দাগ, ট্যান দূর করার মতো বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে। যাইহোক, এর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা হল যে এটির নিয়মিত ব্যবহার ত্বকে একটি প্রাকৃতিক আভা এনে দেয়, যা দেখতে অনেকটা হাইলাইটারের মতো।
অ্যালোভেরা ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং খুব বেশি সময় লাগে না। একটি ঘৃতকুমারী পাতা কিনুন, এটি ছোট টুকরো করে কেটে নিন, একপাশে খোসা ছাড়িয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। অ্যালোভেরা ব্যবহারের কারণে অনেকেরই বিভিন্ন অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ব্যবহারের আগে অল্প পরিমাণে অ্যালোভেরা নিয়ে আপনার হাতে বা ঘাড়ে লাগিয়ে দেখুন এটি আপনার ত্বকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা।
আপনার ত্বককে উজ্জ্বল এবং প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে আপনি অ্যালোভেরার ব্যবহার শুরু করতে পারেন। বাজারে অ্যালোভেরার কাণ্ড পাওয়া যায়। আপনি চাইলে এগুলো কিনে ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরা খুবই কার্যকরী। উদাহরণস্বরূপ, যাদের খুব শুষ্ক চুল এবং অ্যালার্জি বা চুলকানিযুক্ত মাথার ত্বক আছে তারা এটি ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য চুল পড়া এবং খুশকির চিকিৎসায় সাহায্য করে। এমনকি চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও এটি কার্যকর। সে জন্য আমলার রসের সঙ্গে অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে চুলে নিয়মিত লাগান। অনেক বছর ধরে ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের ফুসকুড়ি, চুলকানি, রোদে পোড়া দাগ দূর করতেও অ্যালোভেরা অতুলনীয়
দূষণ, রাসায়নিক এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক জিনিস আমাদের ত্বককে শুষ্ক ও পানিশূন্য করে তোলে। অ্যালোভেরা ত্বক সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যা এবং অবস্থার জন্য সবচেয়ে পছন্দের এবং ব্যবহৃত প্রতিকার। জেলের উপাদানটি ছোট থেকে বড় সব ধরনের ত্বকের সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে। ত্বক পরিষ্কার ও দাগমুক্ত রাখতেও এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে
লাভরা জেল রোদে পোড়া, ছোটখাটো কাটা বা ফাটা ত্বক নিরাময়েও সাহায্য করে। প্রাচীন কাল থেকে এমনকি আজকের বৈজ্ঞানিক জগতেও এটি অত্যন্ত উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। মুখে ঘৃতকুমারী প্রয়োগ করা নিরাপদ কারণ এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে।
বাইরে এসে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। তারপর হালকা হাতে ম্যাসাজ ক্রিম দিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। এবার স্ক্রাব দিয়ে ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষ ও ময়লা পরিষ্কার করে মুখ ভালো করে মুছে অ্যালোভেরা প্যাক লাগান। কিছুক্ষণের মধ্যেই ত্বক কোমল হবে।
রোদে পোড়ার কারণে ত্বক ট্যান হয়ে গেলে অ্যালোভেরা লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যালোভেরা জেল ত্বকে সরাসরি প্রয়োগ করা ভালো। এতে রোদে পোড়া ভাব থেকে খুব দ্রুত মুক্তি মিলবে।
দিনে দুবার অ্যালোভেরা মুখে লাগালে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। গোলাপজল এবং অ্যালোভেরা একসাথে মুখে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
অ্যালোভেরা খুশকি দূর করে। আপনার আঙ্গুলের ডগায় অল্প পরিমাণ জেল নিন এবং দাগের উপর আলতো করে ম্যাসাজ করুন। সারারাত রেখে পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। কয়েক সপ্তাহ এটি প্রয়োগ করলে চুলের দাগ কমে যাবে। এ ছাড়া অ্যালোভেরা, মধু ও শসা একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক সতেজ হওয়ার পাশাপাশি শুষ্কতা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। সিদ্ধ ঘৃতকুমারী এবং গাজরের পেস্ট লাগালেও উপকার পাওয়া যাবে।
অ্যালোভেরার জুস ত্বকের বলিরেখা দূর করতে উপকারী। এজন্য শুকনো কমলার খোসার গুঁড়া, চালের গুঁড়া, মধু এবং তুলসি পাতার মিশ্রণের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। কিছুক্ষণ ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বক সতেজ রাখতে নিয়মিত অ্যালোভেরার প্যাক লাগাতে পারেন। দুই চামচ অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে একটি ডিমের সাদা অংশ এবং এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে একটি ভালো প্যাক তৈরি করুন। সারা মুখে লাগান, শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
3 টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস এবং 1 টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল 2 ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল দিয়ে ব্লেন্ড করুন। মিশ্রণটি মুখে 5 থেকে 10 মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান। নিয়মিত করলে ত্বক সুস্থ থাকবে।
অ্যালোভেরা ব্রণের দাগ দূর করতে খুবই কার্যকরী। মুলতানি মিটি এবং এস মিশিয়ে নিন